ফিচারশিক্ষা

যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুরাও চায় উচ্চ শিক্ষার আলো

সকল শিশুকে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় আনয়ন করা সরকারের একটি অঙ্গীকার।  আর সে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেনো বাদ না যায় কোনো শিশু। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুদের একটি বড় অংশ বাদ পরে যাচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা থেকে।  এমন-ই কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন ফারহানা নীলা।

যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুরাও চায় শিক্ষার আলো

“আমি এই পতিতালয় এলাকায় থাকতে চাই না,আমি এখানে থাকতে পছন্দ করি না। আমি স্কুল এ যেতে চাই. আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই….আমি খুব ভয় পাচ্ছি যে দালালরা আমাকে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করবে। ”-” দৌলতাদিয়া যৌণপল্লীতে বাস করা ১৪বছর বয়সী মেয়ে উমা (কাল্পনিক নাম) এভাবেই তার ভয় এবং প্রত্যাশার কথা দুটিই প্রকাশ করলোা। ”

মেয়েটির মা, শাবজান বললেন “আমার ভাগ্য খারাপ, তাই আমাকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু আমি চাই না আমার মেয়ে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করুক। আমি চাই সে পড়াশোনা করুক এবং পরে একটা ভালো চাকরি করুক। কিন্তু বেশ্যার সন্তান হওয়ায় ভালো কোনো স্কুল তাকে ভর্তি নিবে না। কারণ আমি তার বাবার পরিচয় নিজেও জানিনা।’’

আমরা চাই আমাদের শিশুরা স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠুক, শিক্ষার আলো থেকে যেনো বঞ্চিত না হয় : মর্জিনা বেগম (নির্বাহী পরিচালক, এমএমএস)

মর্জিনা বেগম গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত যৌনকর্মীদের সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) নির্বাহী পরিচালক। ১৩ বছর বয়সে দালালের খপ্পরে পরে তাকে কাটাতে হয়েছে এই যৌন পল্লীতে। কিন্তু তিনি চেয়েছেন তার মতো শৈশব ও কৈশরেই কোনো শিশুর জীবন যেনো ঝড়ে না পড়ে। ১৯৯৫ সালে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা কেকেএসে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে পল্লির সমস্যা সমাধানে ১১ জন মিলে একটি সমিতি গঠন করেন। যার নাম দেন মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস)। ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সমিতির নিবন্ধন পান। যৌনকর্মীর সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, স্বাস্থ্যসেবা, ভোটাধিকার প্রয়োগসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন।

মর্জিনা বেগম বলেন, এখন আমাদের বেশিরভাগ মায়েরাই চায় তাদের সন্তানেরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। তাদের সন্তানরা লেখাপড়া করে শিক্ষিত হোক। আমার প্রতিষ্ঠান ৩ থেকে ৫ বছর বাচ্চাদের ফলোআপের মধ্যে রাখে, যাতে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে। এরপর তাদের সেভ দ্যা চিলড্রেনে দিয়ে দেই। সেখানে স্কুলে শিশুরা লেখাপড়া করে।

তিনি জানান, সরকার ও সেভ দ্যা চিলড্রেন কাজ করে যাচ্ছে। অনেক সুযোগ দিচ্ছে। তারপরও আসলে কলেজ পর্যায়ে গিয়েও, তাদের ফলোআপটা প্রয়োজন।

যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুরাও চায় শিক্ষার আলো

যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য সেভ দ্য চিলড্রেনের স্কুল:

যৌনপল্লিতে বেড়ে ওঠা এই শিশুদের এমন পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এখন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে যৌনপল্লিতে বেড়ে ওঠা পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যাকালীন ক্লাসও রয়েছে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য। এই শিশুরা যেন স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য স্কুলের শিক্ষকরাও কাজ করে যাচ্ছেন।

সেভ দ্যা চিলড্রেনের এডুকেশন প্রোজেক্ট ম্যানেজার মো: সাইফুল ইসলাম খান সেলিম বলেন, পাঁচ বছর বয়স থেকেই শিশুদেরকে এখানে ভর্তি করা হয়।  সাধারনত ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমাদের আন্ডারে থাকে।  এরপর তারা সঠিকভাবে কলেজে যাচ্ছে কিনা বা লেখাপড়া করছে কি না, সেটা আমরা ফলোআপে রাখি।  এবং আমাদের স্কুলে পড়া শিশুরা যাতে এই যৌণ ব্যবসায় জড়িয়ে না পরে, সেটিও ফলোআপে রাখা হয়।

সাইফুল ইসলাম খান বলেন, স্কুলের নির্ধারিত সময়ের পরও হোম ওয়ার্ক বা লেখাপড়ার জন্য আমাদের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।  অর্থাৎ তাদের বাসায় একটা কামড়া থাকে।  সেখানে হয়তো শিশুটির মা তার ব্যবসা করছে। তাই শিশুটি লেখাপড়া করতে পাচ্ছে না। তাই হোমওয়ার্কের জন্যও স্কুলেও একটি ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।

যৌনপল্লিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজারের অধিক শিশু রয়েছে।  বিশাল এই সংখ্যার জন্য এটুকুই যথেষ্ট কি না প্রশ্ন করা হলে সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার যথেষ্ট দিচ্ছেন।  আমাদের অর্থ এবং সামর্থ্য দিয়ে আমরা যতটুকু পারছি করে যাচ্ছি।  তবে অবশ্যই আরো অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

নারী শিশুদের জন্য রয়েছে সেফ হোম, কিন্তু নিজ খরচে থাকতে হয়:

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে শিশুদের জন্য সেফ হোমের ব্যবস্থা করেছে স্যাভ দ্যা চিলড্রেন।  সেখানে বর্তমানে ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩৯ জন মেয়ে রয়েছে।  বলে জানিয়েছেন সেভ দ্যা চিলড্রেনের এডুকেশন প্রোজেক্ট ম্যানেজার মো: সাইফুল ইসলাম খান সেলিম।

তিনি জানান, এই সেফ হোমে থাকার প্রধান শর্ত হল, এখানে একবার আসলে তাদের কাউকে আর যৌনপল্লিতে ফিরে যেতে দেয়া হবেনা।  এই সেফ হোমে প্রতিটি মেয়েকে মাসে একটি খরচ দিতে হয়। এর একটি অংশ সেভ দ্যা চিলড্রেন বহন করলেও বাকিটা মেয়ের মায়েদের দিতে হয়। তাই যাদের সামর্থ রয়েছে, এবং যাদের মায়েরা চান না যে, তার মেয়ে এই ব্যবসায় নামুক, তারা মেয়েকে টাকা দিয়ে হলেও এখানে রাখেন।  এই মেয়েরাও আশা করেন এই সেফ হোম থেকে পড়াশোনা শেষে চাকরি করে মা’কে এই পরিবেশ থেকে নিয়ে যাবে।

এই সেফ হোমে মাত্র ৫০ জন শিশুকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।  এটা যথেস্ট কি না সেই প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, হয়তো যথেস্ট নয়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, ৫০ টি সিট পূর্ণ নতুন কাউকে জায়গা দিতে পারছিনা। আবার, অনেক সময়, মেয়েরা এখান থেকে পাস করে বেরিয়ে ভালো পরিবেশে লেখাপড়ায় চলে যায়।  হোস্টেলে ভর্তি হয়।  তখন সিট খালি থাকলেও তাদের মেয়েদের পাওয়া যায় না।

যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুরাও চায় শিক্ষার আলো

প্রতিটি শিশুকে শিক্ষার মূল ধারায় আনতে আমরা কাজ করছি: দীপক কুমার রায়, উপসচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়:

নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু ও সমন্বয় বিভাগের উপসচিব দীপক কুমার রায়ের মতে, সরকারের লক্ষ্য “প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষার মূলধারায় নিয়ে আসা। এর মধ্যে যৌনকর্মীদের সন্তানও রয়েছে।’’

“যদি এই শিশুরা মূলধারার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারে (এবং) সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের নাম বলতে পারেন।অভিযোগ জানাতে পারেন হেল্পলাইন ১০৯ এ কল দিয়ে। তারপর আমরা সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানের পিতার পরিচয়ের আর প্রয়োজন নেই।’’

মায়ের পেশা উল্লেখ করতে হয়, যেটি যৌণকর্মীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়; হাজেরা বেগম

শিশুদার জন্য আমারা (আমরা শিশুদের জন্য) আশ্রয়কেন্দ্রের সভাপতি সাবেক যৌনকর্মী হাজেরা বেগম অবশ্য এতে খুশি হননি। তিনি বলেন, “এই রায় একক মায়েদের উপকার করেছে কিন্তু আমাদের নয়।” “মায়েদের অভিভাবকত্ব দিতে হলে পেশা উল্লেখ করতে হবে। আমরা যদি বলি আমরা যৌনকর্মী, তাহলে আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষাই দিতে হবে।”

শিশুদার জননো আমারা (আমরা শিশুদের জন্য) আশ্রয়কেন্দ্রের সভাপতি সাবেক যৌনকর্মী হাজেরা বেগম অবশ্য এতে মুগ্ধ হননি। এশিয়া ডেমোক্রেসি ক্রনিকলসকে (এডিসি) তিনি বলেন, "এই রায় একক মায়েদের উপকার করেছে কিন্তু আমাদের নয়।" “মায়েদের অভিভাবকত্ব দিতে হলে পেশা উল্লেখ করতে হবে। আমরা যদি বলি আমরা যৌনকর্মী, তারা আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেয় না। অথবা পরীক্ষার জন্য আমাদের ডাকবেন না।"

যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘‘নারী পক্ষ’’বলছে যে বর্তমানে সারা বাংলাদেশে সরকারি অনুমোদনে নিবন্ধিত ১৪টি পতিতালয় রয়েছে। এই আইনী পতিতালয়ের প্রতিটি এলাকায় অলাভজনক গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুল রয়েছে যেখানে যৌনকর্মীদের বাচ্চারা প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারে। এর পরে, তাদের শিক্ষার অগ্রগতির খুব কম বা কোন সুযোগ থাকে না।

যৌন পল্লীতে বেড়ে উঠা শিশুরাও চায় শিক্ষার আলো

অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে যৌণকর্মীর সন্তানদের লেখাপড়া করান মশিউল আজম মিন্টু:

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্র ছিলেন, সে সময়ের কয়েকজন যুবক স্বেচ্ছায় সেক্স ওয়ার্কারদের সন্তানদের অভিভাবক হয়ে লেখাপড়া করান। তেমন ই একজন যুবক মশিউল আজম মিন্টুর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ২০১৩ সালে আমরা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৫/৬ জন বন্ধু অনাথ শিশুদের লেখাপড়া শিখাতাম । তখন আমরা দেখতে পারি যে, মা সেক্স ওয়ার্কার। বাবা নেই। এমন শিশুদের অনেকেই ইন্টালিজেন্ট। কিন্তু বাবার পরিচয় না থাকায় তাঁরা ভালো পাবলিক স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা। তখন আমরা আমাদের সন্তান হিসেবে জন্ম সনদ তৈরি করে দিয়ে তাদেরকে স্কুলে ভর্তি করাই।

মশিউল আজম মিন্টু

মিন্টু জানান, ‘‘এখনও ১০ বছর ধরেই এ কাজটি করছি। আমি ও আমার ওয়াইফ আমাদের নামে পিতামাতা হয়ে ৫ জন বাচ্চার নামে জন্মসনদ করেছি সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে। সিটি কর্পোরেশন জানান ৫ জনের বেশি বাচ্চার অভিভাবকের দায়িত্ব আমি নিতে পারবোনা। এরপরও সেই জন্ম সনদ দিয়েও বাচ্চাদেরকে ভালো পাবলিক স্কুলে ভর্তি করাতে পারিনাই। কারন একই ক্লাসে আমার ৫ টা বাচ্চা এই বিষয়ে নানা রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সব স্কুল তাঁদের ভর্তি করাতে চাননা। তবুও শান্তি এই যে, আমাদের অভিভাবকত্ব নিয়ে ২ জন বাচ্চা ভার্সিটি লেভেল পর্যন্ত যেতে পেরেছে।’’

মিন্টু জানান,‘‘ আমরা এখন মোট ১৫ জন অভিভাবক হয়েছি। যারা ৫টা করে বাচ্চার অভিভাবকত্তের দায়িত্ব নিয়ে বাচ্চাদেরকে লেখাপড়া করাচ্ছি। তাঁদের সেক্স ওয়ার্কার মায়েরাই খরচ বহন করছে, কিন্তু পিতা মাতার স্থানে আমাদের নাম হচ্ছে। এটা একেবারেই আমাদের ব্যক্তিগত মানবিক কাজ ও সিদ্ধান্ত।’’

মিন্টু বলেন,‘‘এটা আমাদের নিজেদের একটা ব্যবস্থা। কিন্তু সরকারকে এই শিশুদের মূল ধারার ব্যবস্থায় আনতে কঠর উদ্যোগ নেয়া উচিত। সেই সঙ্গে আমাদের এই উদ্যোগে আমরা আরো মানুষ এগিয়ে আসলে আমরা ও এই শিশুরা উপকৃত হবে।’’

করনীয় :

‘‘নারীপক্ষ’’ সংগঠন সংস্থার মতে উঠে এসেছে কিছু করনীয়:

প্রথমত, অন্তত ১২ বছরের উর্দ্ধে বয়সী শিশু কিশোরদের এই পল্লীর বাইরে নিয়ে যেতে হবে ভালো পরিবেশে।  যেমন, ঢাকার কোনো হোস্টেলে থেকে লেখাপড়ার ব্যবস্থা।

দ্বিতীয়ত, সেফ হোমে সন্তানদের খরচের একটি অংশ কিন্তু মায়েদেরই দিতে হচ্ছে।  যেটা বহন করতে তাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়।  তাই সেই খরচটি সরকার বা এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো বহন করলে আরো অনেক শিশু কিশোর লেখাপড়ায় আগ্রহী হবে।  মায়েরাও আগ্রহী হবে সন্তানদের সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসতে।  

তৃতীয়ত, সামাজিকতার দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন একটি বড় বিষয়।  সাধারণত, বাইরের কোনো স্কুলে বা হোস্টেলে সন্তানদের দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানটি যখন জানতে পারে, সে দৌলতদিয়া থেকে এসেছে, তখনই তাকে আর ভর্তি করানো হয় না। কারন ওই শিশুর সাথে মিশে অন্য শিশুরাও খারাপ কিছু শিখতে পারে।  আবার যদি সে কিশোরী হয়, তখন ভাবা হয় যে, সে ওই পেশা থেকেই এসেছে। তাই সামর্থ্য বা ইচ্ছা থাকলেও সুযোগের অভাবে তারা আসল শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না।  তাই এই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনটা জরুরী।

 

ফারহানা নীলা.

সিনিয়র রিপোর্টার

নিউজ নাউ বাংলা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button