করোনা ভাইরাসের অত্যধিক সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা লাল (রেড) ও হলুদ (ইয়েলো) জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সে সঙ্গে গ্রিন জোনে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, লাল ও হলুদ জোনে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। আর গ্রিন জোনে সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিসসূহ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লাল ও হলুদ জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশ তিনটি জোনের (লাল, হলুদ, সবুজ) আওতায় লকডাউন করেছে সরকার।
এবার তিন জোনের মধ্যে লাল ও হলুদ জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর সবুজ জোনে ৩০ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে সেই ভাবেই চলতে থাকবে।
সোমবার (১৫ জুন) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আদেশে বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বয়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী এসব দফতরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।
এতে আরও বলা হয়, সবুজ অঞ্চলে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এব বেসরকারি অফিস নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকার সময় অর্থাৎ, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহনও চলাচল করতে পারবে।
আদেশে বলা হয়, অনুমোদিত অঞ্চলে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল ও বিমান চলাচল করতে পারবে; তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।