লঞ্চে আগুন: দগ্ধদের চিকিৎসার খরচ সরকারের : স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা এবং মরদেহ পরিবহনের সব খরচ সরকার বহন করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অনেককে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এসব রোগীর চিকিৎসা এবং মরদেহ পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার।’
এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্তলাল সেন জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ২১ জনকে তাদের ওখানে ভর্তি করানো হয়েছিল। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে তার মধ্যে হাবিব খান নামের একজন মারা গেছে। বর্তমানে ১৯ জনের চিকিৎসা চলছে। দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
চিকিৎসাধীন দগ্ধরা শঙ্কামুক্ত কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।’
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। এ নিয়ে সাতটি মরদেহ হস্তান্তর করা হলো স্বজনদের কাছে। বাকি ৩০ মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
