সরকার দুই কার্গো এলএনজি ও ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয় করবে

দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার দুই কার্গো এলএনজি এবং ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয়ের জন্য পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চলতি বছরের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কাউন্সিল কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠক শেষে, সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা জানান, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য আমরা এলএনজি আমদানি করছি। আজকের বৈঠকে এলএনজি ও সার আমদানির জন্য বেশ কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। আমদানি করা এলএনজি শিল্প কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকার সার মজুদ ও সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এছাড়া তিনি বাজারে মসুর ডাল, পেঁয়াজ, আলু, চিনি, সয়াবিন তেলের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে মোট সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি পৃথক প্রস্তাবের আলোকে, সরকার স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুরের মেসার্স গুনভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রায় ৬৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়ে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে যার প্রতি একক এলএনজির মূল্য হবে ১৩.৫৭ মার্কিন ডলার।

অন্য একটি প্রস্তাবে, সরকার প্রায় ৬৪৯.৫৯ কোটি টাকায় সিঙ্গাপুরের মেসার্স গুনভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করবে যার প্রতি একক এলএনজির মূল্য হবে ১৩.৭৭ মার্কিন ডলার।

এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) দ্বিতীয় লটের অধিনে সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি নিউট্রেন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয় করবে যার মূল্য প্রায় ১২৪.৬৮ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য হবে ৩৪৬.৩৩ মার্কিন ডলার।

বিসিআইসি ৪র্থ লটের অধীনে কর্নফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সারের আরেকটি চালান ক্রয় করবে যেখানে প্রায় ১২০.৭৮ কোটি টাকা খরচ হবে যেখানে প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম হবে ৩৩৫.৫০ মার্কিন ডলার।

এগুলি ছাড়াও, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুসরণ করে প্রায় ১৪৯.৪০ টাকায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তি অনুসারে ৬তম লটের অধীনে মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন টিএসপি সার সংগ্রহ করবে যার প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম হবে ৪১৫ মার্কিন ডলার।

বিএডিসি সৌদি আরবের এমএ এডিইএন থেকে ৪০,০০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের আরও একটি চালান ক্রয় করবে যার মূল্য প্রায় ২৭৮.৮৮ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম হবে ৫৮১ মার্কিন ডলার।