ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মাঠে এবং মাঠের বাইরে সমান আলোচিত, তাই প্রবাসীদের কাছেও ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আলোচনার এক বিষয়বস্তু। এবার তিনি পূনরায় আলোচনায় উঠে আসতে যাচ্ছেন আমিরাত প্রবাসীদের কাছে। গত মার্চ মাসে দুবাইয়ের আরব জুয়েলারী উদ্বোধনের বিতর্কেত ঝড় উপেক্ষা করে তিনি আবারও দুবাইয়ে পা রাখতে যাচ্ছেন একটি বিজ্ঞাপনী কাজে।বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ মিশন কর্মকর্তারা। গত মার্চ মাসে দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলারস প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন বিশ্ব খ্যাত ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।সে বিতর্ক কর্ণপাত না করে নিজের মতো করে এড়িয়ে গেছেন বিষয়টিকে।সেই বিতর্কের ঝর না থামতে থামতে আরেকবার তিনি দুবাইতে আসতে যাচ্ছেন আরেকটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিজ্ঞাপন করতে। সাকিবের জনপ্রিয়তা কে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশী এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসায়িক পরিধি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি আগামী ২০ আগস্ট বিশ্বখ্যাত দুবাই গোল্ডসূকে এন আর আই জুয়েলারী নামে একটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের হোলসেল অফিস উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।এর আগেও তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে আমিরাতের সারজায় এসেছিলেন। তবে তিনি এবার একা নন, সাথে উপস্থিত থাকবেন আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাও।তবে মাশরাফি বিন মর্তুজার উপস্থিতির বিষয়টি আরো দু, এক দিন পর নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
এদিকে সাকিব আল হাসান দুবাই আসার খবর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে জনসাধারণের মাঝে।গত মার্চে দুবাই গোল্ডসূক ও সারজা কে এন ট্রেডিং এলাকায় দুটি জম কালো অনুষ্ঠানে প্রিয় তারকাকে দেখতে হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী ভীড় করেছিলেন।ফলে দুবাই ও সারজায় অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল এই আয়োজন গুলোতে।তবে এবারের সাকিবের উপস্থিতি নিরাপদ ও সুশৃংখল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের হয়ে ক্রিকেট তারকাদের উপস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাংলাদেশ মিশন গুলো,আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর এই বিষয়ে বলেন পাকিস্তান ভারত এবং অন্যান্য দেশের সেলিব্রেটিরা নিজেদের দেশের প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসার বাড়াতে এখানে আসেন।সেভাবে প্রবাসীরা তাদের ব্যবসায়ীক কাজে সাকিব আল হাসান সহ অন্যান্য ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তা কে কাজে লাগাবেন এটাই হওয়া উচিত। তাছাড়া বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি আমিরাতে অবস্থানরত ১০ থেকে ১২ লাখ প্রবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা অবশ্যই সফলতা পাবেন।
উল্লেখ্য গত মার্চ মাসে দুবাইতে একটি আলোচিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে, ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল সাকিব আল হাসান।সে সময় বাংলাদেশের বেশ কিছু বিনোদন তারকাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয়। দেশের গণমাধ্যমে এই নিয়ে তুমুল হৈচৈও হয়েছে।এবারের আয়োজনে সকল বিতর্ক থেকে সাকিবকে দূরে রাখতে আয়োজকরা জোড়ালো সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানাগেছে।
