আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপন মামলায় আট বছর কারাদন্ড বাবরের
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক রায়ে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হলো। দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। তাই লুৎফুজ্জামান বাবর পাঁচ বছরের সাজা খাটলেই চলবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য ২০০৭ সালের ৫ জুলাই বাবরকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে বাবর ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দেন।
তদন্তকালে তার গুলশানের একটি ব্যাংকে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকার লেনদেনের হিসাব পাওয়া যায়। এই টাকা বাবরের ব্যাংক হিসাবে এসেছিল সিঙ্গাপুর থেকে। এ বিষয়ে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদক বাবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাতজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়।