চলে গেলেন ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার
করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (৪ জুলাই) ভোররাত ৪টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রায়ের বাজার কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওনাসিস।
ফজল-এ-খোদার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সজীব জানান, তার বড় ভাই ওয়াসিফ এবং তার স্ত্রী সুমনাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন; তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ১২তম স্থানে রয়েছে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি।
ফজল-এ-খোদার লেখা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগ’ ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।
তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।