সত্যের মুখোমুখি হতে পারবেনা বলেই সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি বাতিল করেছে বিএনপি: কাদের
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছিলো, করোনার ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ইতিহাসের অনেক মীমাংসিত বিষয় নিয়ে তারা চূড়ান্ত সত্যের মুখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে জেনেই বিএনপি তাড়াহুড়ো করে ২৫ ও ২৬ মার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণহত্যা দিবস’র এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়াই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য। রাতের আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর আক্রমণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
তিনি বলেন‘স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও পাকিস্তান ৭১-এর বর্বরোচিত নৃশংস হত্যার জন্য আজও দুঃখ প্রকাশ করেনি, ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। স্বাধীন দেশ হিসেবে পাকিস্তানের কাছে আমাদের পাওনা আজও বুঝিয়ে দেয়নি। স্বাধীনতার এত বছর পরও তারা তাদের নাগরিকদের আমাদের ওপরে বোঝা করে রেখেছে।’
কাদের বলেন, ‘একাত্তরে গণহত্যার অজস্র তথ্য-প্রমাণ সংবাদ রয়েছে। নানাভাবে আলোচিত এই নৃশংসতা। এই গণহত্যা অস্বীকারের কোনও উপায় ছিলো না। তারপরও অস্বীকারের চেষ্টা হয়েছে।’
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার সীমিত আকারে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।