টিপু হত্যাকাণ্ড: ‘বিশেষ সুবিধার আশ্বাসে’ কিলিং মিশনে নামে মাসুম
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনায় মো. মাসুম ওরফে আকাশ নামে এক শুটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার জন্য ঘটনার ৫ দিন আগে ‘কন্ট্রাক্ট’ (চুক্তি) করে মাসুম মোহাম্মদ আকাশ নামে এক পেশাদার খুনি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, তিন দিন আগে সে নাম পায় কাকে খুন করতে হবে। ঘটনার আগের দিন টিপুকে কমলাপুরে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। হত্যাকাণ্ডের জন্য টাকা নয়, আগের কয়েকটি মামলা তুলে নেওয়াসহ বিশেষ সুবিধার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় তাকে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শুটার আকাশ জানিয়েছে, ঘটনার আগের দিন ২৩ মার্চ জাহিদুল ইসলাম টিপুকে তার এজিবি কলোনির রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় যাওয়ার রাস্তায় অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু বেশি লোকজন থাকায় সে ব্যর্থ হয়।
আসামির বরাত দিয়ে তিনি জানান, পর দিন আবার সে টিপুকে অনুসরণ করে। টিপুর গাড়ি শাহজানপুরে রাস্তায় যানজটে দাঁড়ালে টিপুকে লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান আকাশ।
টিপু হত্যায় কত টাকার চুক্তি করা হয়-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকার অঙ্ক জানা যায়নি। তবে মাসুমের নামে থাকা আগের বেশ কিছু মামলা থেকে তাকে অব্যাহতিসহ বিশেষ সুবিধা পাওয়ার চুক্তিতে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কে বা কারা, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হাফিজ আক্তার বলেন, মাসুমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ,যারা কন্ট্রাক্ট দিয়েছে তাদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর মানামা ভবনের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা টিপুর ওপর হামলা করে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টিপু ও রিকশায় থাকা (যাত্রী) সামিয়া আফনান প্রীতি (২২) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হন। আর গুলিতে আহত হন টিপুর গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (৩২)।
পরে গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে নিহতের স্ত্রী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে মামলা করেন।