পর্যটকদের জন্য ৫ মাস পর আজ খুলছে কক্সবাজার
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস বন্ধ থাকার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এটিকে ‘পরীক্ষামূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রায় কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটন শিল্প খুলতে হবে। মেনে চলতে হবে এ বিষয়ে প্রণীত কর্মপন্থার সকল নিয়মাবলি।
এ বিষয়ে স্টেক হোল্ডারসহ কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং আগত পর্যটকদের যেকোনো অবস্থাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। তারপরও কেউ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক তদারকি থাকবে বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির জুম কনফারেন্স সভায় শুধুমাত্র কক্সবাজার পৌর এলাকার পর্যটন শিল্প সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহ খোলার অনুমতি দিতে সিদ্ধান্ত হয়। এরই আলোকে সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পথচলা শুরু হচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর সীমিত আকারে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে সৈকত তীরের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্ট্যুরেন্ট, ক্ষুদে, ভাসমান ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে প্রস্তুতির ধুম পড়েছে। ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। স্বাস্থ্যবিধির আলোকে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। ফিরে আসছে, কক্সবাজারের কোলাহলময় পর্যটন শিল্পের আসল রূপ।