সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আর এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতাও নিশ্চিত করতে চায় কোম্পানিটি। মোট তিনটি ক্লিনিক্যাল ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করছে তারা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাসকাল সরিয়ট বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন তৈরি ও এই ভ্যাকসিন যাতে সর্বত্র পাওয়া যায়, সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাবো আমরা। মোট তিনটি ক্লিনিক্যাল ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করছি আমরা। এসব ধাপে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও এক শিশুর শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়টিও রয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উন্নয়নে কাজ করছে। আর এই ভ্যাকসিন উন্নয়নে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিকেল অ্যাভভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বারডা)।
এই বিনিয়োগের আওতায় ভ্যাকসিন আসলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ৪০ মিলিয়ন বা চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই সময়ে অন্তত ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায় ব্রিটিশ-সুইডিশ এই ওষুধ কোম্পানিটি।
করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে গত এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে পার্টনার হিসেবে নাম ঘোষণা করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ভ্যাকসিন উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের জেনার ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ।
গত মাসে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ ঘটায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরে সর্বশেষ ঘোষণায় ওষুধ কোম্পানিটি জানায়, এই পরীক্ষায় ফলাফল ইতিবাচক পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আরও একাধিক দেশে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলবে।
এদিকে করোনা ভ্যাকসিন উন্নয়নে গত রোববার ৬৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের (৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিশ্ব বাজারে ছাড়ার আশা করছে দেশটি। খবর সিএনবিসি।