বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক সমাজের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরির অপকৌশল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনার নামে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হীন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে বিএনপি।
রবিবার (১০ মে) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রিলিফ কাজে অস্বচ্ছ কিছু হলে, প্রকৃত সত্য যে কেউ তুলে ধরতে পারে। কিন্তু সেদিকে টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করা নিশ্চয়ই অপরাধের শামিল। যেকোন পদক্ষেপের সাথে যে কারো একমত বা দ্বিমত পোষণের সুযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার, নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে সত্যতা যাচাই না করে, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো অপকৌশল, কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা একথাও বলেছি যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি যাতে প্রয়োগ অপপ্রয়োগ না হয়। সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্তক থাকবে, যারা অপপ্রোয়গ করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিরা সংখ্যা ৬১ জাহার ৫৬৯ জন। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। যে কয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধ দলীয় লোক হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই ঢালাওভাবে ত্রাণ চুরির অভিযোগ সঠিক নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সততা ও সর্বজনবিদিত নিজের লোককেও দুর্নীতি করলে তিনি কখনও ছাড় দেন না। সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রবাসে থাকা বাঙালিদের বিষয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখে প্রবাসী বাঙালি রয়েছে। এদের অনেকই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া দেশে প্রবাসী পরিবারগুলো যারা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এই পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে সরকারি ভাবে এবং বেসরকারি ভাবেও তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
এসময় পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের এই সংকটকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার পরেও ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করেননি। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াননি। কাজেই এ দুঃসময় পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা অনুযায়ী সহায়তা করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
দোকান-পাট খোলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির বিবেচনায় সরকার দোকান-পাট, তথা বাণিজ্যিক কেন্দ্র সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দিয়েছেন৷ তবে দুঃখের বিষয় পোশাক কারখানার অনেকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার অভিযোগ আছে। নিজেদের স্বার্থে, সুরক্ষার নিয়মকানুন তারা যাতে মেনে চলেন। সে ব্যাপারে আমি মালিক ও শ্রমিকদের কাছে অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।