ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী বিএনপি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশজুড়ে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী বিএনপি ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে গোপন সখ্য গড়ে তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। তাদের বর্ণচোরা আর গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে জনগণ মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুশিলব বিএনপি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নয়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। যার মাধ্যমে বিএনপি প্রকারান্তরে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে। অপরাজনীতির জন্যই জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কোনও একদলীয় শাসনব্যবস্থা নেই। আছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা। আছে কার্যকর সংসদ। অথচ বিএনপি মহাসচিব তথাকথিত একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আসলে তিনি বিএনপি উন্নয়ন ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেন, ‘বিএনপি দাবি করে তাদের দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি। কিন্তু এদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয় তখনও বিএনপি প্রকাশ্যে একটি বাক্য বলারও সাহস দেখাতে পারে না।‘
‘সরকার দেশকে বিরোধী দলহীন করার চেষ্টা করছে’ বিএনপি মহাসচিবের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মজবুত করতে সরকার শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধী দল চায়। শেখ হাসিনার সরকার সমালোচনায় ভয় পায় না, গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার অপচেষ্টা না করে বাস্তবতা মেনে ও দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ও অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, অর্জন করেছে ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি। গ্রাম থেকে শহরের প্রতিটি সেক্টরে সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুজিব বর্ষের মধ্যেই সারা বাংলাদেশের পাড়ায় মহল্লায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে, গোটা বাংলাদেশ বিদ্যুৎতের আলোয় আলোকিত হবে।