সড়ক শৃংখলা ফেরাতে আরো চার কমিটি গঠন করছে সরকার:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সড়ক মহাসড়কে নৈরাজ্য দূর করে শৃংখলা ফেরাতে আরো চার কমিটি গঠন করেছে সরকার। চার মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সমন্বয়ে গঠিত সাব কমিটিগুলো সড়কে বিশৃংখলার কারন চিহ্নিত করার পাশাপাশি শৃংখলা আনতেও সুপারিশ করবে।
রোববার ( ২৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, গত বছর সড়কে শৃংখলা ও নিরাপত্তা দিতে শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যে ১১১ দফা সুপারিশ করেছিলো সেসবও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে সচিবদের নেতৃত্বে গঠিত সাব কমিটি।
নতুন গঠিত কমিটিতে সড়ক মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ
চার সাব কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
এদের মধ্যে সড়ক মহাসড়ক বিভাগের সচিব সড়ক সংক্রান্ত বিষয় বেশি নজর দেবেন। পাশাপাশি বিআরটিএকে শক্তিশালী ও অসঙ্গতি দূর করতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব দেখবেন সড়ক মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের দিক। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব জেলা উপজেলা সড়কের অসঙ্গতি আর তথ্য সচিব জনসচেতনা বাড়াতে কাজ করবেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই চার কমিটিকে তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, সেই ফোর্সের কাজ ছিল পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাস্তবমুখী বাস্তব পরিকল্পনা করা। এতোদিন ১১১ দফা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়নি। এবার তা শুরু হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সেখান থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগ বন্ধ করা হয়নি। বিআরটিএ’র দুর্বলতার কারণে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। আর এসব অসঙ্গতি দূর করতেই চার সচিবের নেতৃত্বে সাব কমিটি কাজ করবে।
আরো বলেন, আইন বাস্তবায়নে কিছু দুর্বলতা ছিল। বিআরটিএ এখনো অনেক লাইসেন্সএর নবায়ন করতে পারেনি। আইনটি বাস্তবায়নের আগে এসব বিষয় দেখা উচিত ছিলো বলে স্বীকার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেজন্য বাস্তবতার নীরিক্ষে চালকদের সময় দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে এসব বিষয় আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে। যারা নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে গাড়ির ফিটনেস ট্যাক্স দেয়নি, তাদের জরিমানা মওকুফের দাবি জানিয়েছিল চালকরা। তাদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে তা মওকুফ করা হবে। তবে একবারই তা মওকুফ করা হবে, পরে আর তা মওকুফ করা হবে না।
সড়ক আইনে মৃত্যুদন্ডের কথা লেখা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সড়ক আইনে ফাঁসির কোন কথা লেখা নেই। মিথ্যা প্রচারের জন্য চালকদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। সেজন্য তথ্য সচিব কাজ করবেন। আইনে কত বছর সাজা হবে এবং সর্বোচ্চ টাকা জরিমানা হবে সেটি লেখা হয়েছে, সেটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। তবে আইন অনুযায়ী কি শাস্তি হবে বা অর্থদন্ড হবে সেটা বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন।