চোরাই মোবাইল কম দামে কিনে বদলে ফেলতো আইএমইআই

মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করার ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোনসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি বলেন, গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিআইডির ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি টিম চোরাই মোবাইল ফোন কিনে বিভিন্ন ডিভাইস ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রয়কারী চক্রের ওই ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- মুরাদ খান (২৩), লাভলু হাসান (২০), আল আমিন ওরফে অনিক (২২), বশির আলম শুভ (৩০) আব্দুল মালেক (৩২), মো. তামিম (২০), শাহ আলম (৩৬), স্বপন (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), ইমাম হাসান (২২), মো. আরিফ (৩৪) ও আল আমিন (২০)।
এডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগর এলাকায় মোবাইল চোরচক্রের কাছ হতে স্বল্প দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ক্রয় করে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করার ডিভাইস ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতি করে আসছিল।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধীরা হত্যাসহ ছিনতাই, ডাকাতি করে ব্যবহারকারীর মোবাইল নিয়ে যাওয়ার কারণে পূর্বে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সহজেই অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হতো।
কিন্তু সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মোবাইলফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনসহ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্রেফতাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, গ্রেফতার মুরাদ খান ও লাভলু হাসান শহরের বিভিন্ন চোরদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইলফোন কিনে নিয়ে তার লক খোলা এবং মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার জন্য অনিক, বশির ও মীম টেলিকম এর মালিক আব্দুল মালেকের কাছে দিতো।
অনিক, বশির ও মালেক Z3x ডিভাইস ব্যবহার করে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করতো। এরপর সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে নির্ধারিত মূল্যের কম মূল্যে মোবাইলগুলো বিক্রয় করতো। চোরাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করা ২৬৫ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল, আইএমইআই পরিবর্তন করার Z3x নামক ৯টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
চক্রের সদস্যরা এই ডিভাইসগুলো গুলিস্থানের পাতাল মার্কেটের মাসুদ টেলিকম ও কবির টেলিকম থেকে কিনে বলে জানায়।
ডিভাইসগুল চায়না থেকে আনা। মাসুদ এবং কবির টেলিকম অবৈধভাবে ডিভাইসগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।