পঞ্চমবার ও টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন।
পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বর্তায় তারা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে তার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এক চিঠিতে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো বলেন, ‘গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আপনাকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থের অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যেতে গাম্বিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার সুযোগটি নিতে চাই। যদিও আমি আপনাকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই, গাম্বিয়া সরকার বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়।’
আরেক বর্তায় ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর বলেন, ‘ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আপনি পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ফিলিপাইন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়। কারণ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ইচ্ছাকে পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনার সাফল্য কামনা করি। কারণ, আপনি আপনার দেশকে আরও অব্যাহত উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের রায় পেয়েছেন।’
পৃথক এক বার্তায় আইটিইউর মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আপনার সাফল্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি, ঐক্য, প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিটি সাফল্য কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইটিইউ বছরের পর বছর ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সার্বজনীন সংযোগ এবং একটি টেকসই ডিজিটাল দেশে রুপান্তর করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আমি আইসিটির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে আপনার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।’
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। তাদের শপথ গ্রহণের একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এই শপথের মধ্যে দিয়েই পঞ্চমবার ও টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলো আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়েন।