তৃতীয়বারের মতো উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ
ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৯ ও ২০২০ সালের পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ।
শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা।
শনিবার গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
২৭ মাসের দীর্ঘ বিরতির পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে তাইজুল ইসলাম একাই ধ্বসিয়ে দেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। ১০ ওভারে ২টি মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ২ উইকেট করে নেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।
ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৭৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ১৩ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আলজারি জোসেফের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শান্তর বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল।
৩৪ (৫২) রানে তামিমের ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৬২ বলে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। বরাবর ৫০ (৬৫) রান করে গুডাকেশের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেও জয়ের ভীত গড়ে দেন লিটন।
এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। মিরাজের ৩৫ বলে ১৬ রানের ইনিংস ও সোহানের ৩৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে এক জয় নিয়ে সিরিজের সমাপ্তি টানে বাংলাদেশ।
উইন্ডিজের পক্ষে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন গুডাকেশ মটি। ১টি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেফ ও নিকোলাস পুরান।