খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে আইনি প্রক্রিয়া চালাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করা হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানকে মুক্তিমুক্তি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের অপরাধী হলে দেশে এনে তাঁদের আইনের সম্মুখীন করতে চাই। অনেকে লুকিয়ে ও পালিয়ে থাকে। কারও ঠিকানা পেলে সেই দেশকে আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত দিতে বলি।’
বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করা হবে কে না—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যত ধরনের আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, আমরা তাতে চেষ্টা করব।’
উল্লেখ্য, গেলো ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় এক যুগ ধরে শরণার্থী কার্ড নিয়ে বসবাস করা এম খায়রুজ্জামানকে। আটকের পর মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধেই তাকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, এম খায়রুজ্জামান এক দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। তবে তিনি সেই মামলা থেকে খালাস পান।
খায়রুজ্জামান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ থেকে বাতিল করে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।