ভারত থেকে জরুরি পণ্য আমদানিতে চালু হচ্ছে ৪ রেল রুট
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি ও রফতানি সচল রাখতে চালু হচ্ছে মালাবাহী ট্রেনের পাশাপাশি পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত থেকে জরুরি প্রয়োজনে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ বাড়াতে আপাতত সরকার চারটি রেল রুট চালু করতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে একটি আন্ত মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়েছে। নিজ নিজ অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সে হাইকমিশন ও বাংলাদেশ রুরাল বাণিজ্য ও রাজস্ব বোর্ড পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে ও পণ্য আমদানি ও রফতানি ইস্যূতে মত পোষণ করেন।
মূলত করোনা ভাইরাস মহামারিতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি সচল রাখতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রেলের কার্গো চালু করতে যাওয়া রুটগুলো হলো- যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর।
বোনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ থাকাতেই রেলের মাধ্যমে পণ্য আনতে চাচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে আরো একটি ফাইনাল মিটিং হবে। যাতে ভারত থেকে চারটি রুটে কার্গোর কাঁচামালসহ অন্য পণ্য আনা-নেওয়া যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ের চারটি রুট ঠিক করা হয়েছে। যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর। এছাড়া বেনাপোলসহ অন্য ল্যান্ডপোর্টগুলোও খোলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির কারণে বন্ধ হয়েছে গেছে গত তিন-চারদিন ধরে। তবে সরকারিভাবে কোনো বাধা নেই।
‘বেনাপোল বন্ধ হলেও আসাম ও ত্রিপুরা স্থলবন্দর চালু রয়েছে। চ্যাংড়াবান্ধা ও বাংলাবান্ধা- এই দু’টি স্থলবন্দর সচল থাকবে যাতে প্রয়োজনীয় সুবিধা পায় বাংলাদেশ। প্রায় ২২শর বেশি ট্রাক পড়ে আছে বেনাপোলের ওপারে (ভারত)। এদিকে বাংলাদেশেও প্রায় ২শ ট্রাক পড়ে আছে, তারা যেতে পারছে না। যদি ট্রেন চালু করা যায় তাহলে এই অবস্থান থেকে উন্নতি করা সম্ভব।’