জাতীয়সাহিত্য ও বিনোদন

বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ

যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
পুরাতন সব জরাজীর্ণকে ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ। আজ চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ বাংলা ১৪২৭ বঙ্গাব্দেরও শেষ দিন। আগামীকাল মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৮। পুরাতন সব গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার দিন। নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন।

 

আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন।

কথিত আছে, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

তবে এবারও করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ফলে পয়লা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। সারা দেশে ৭ দিনের লকডাউনের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এ অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষেও কোনও আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না এবারও।

তবুও আগামীকাল নতুন ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের বাঙালি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির প্রার্থনা নিয়েই আজ পুরনো বছরকে বিদায় আর আগামীকাল নতুন বছরকে প্রায় অনানুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button