ছয় মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছে: নিউজ নাউ বাংলা’কে বিএসইসি চেয়ারম্যান
ছয় মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার সরকারি ও বেসকরকারি বন্ড অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। নিউজ বাংলার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি একথা জানান। দেশের দুই পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব গ্রহনের পরে ছয় মাসে বাজারের উন্নয়নে তার দেয়া প্রতিশ্রুতি ও কাজের অগগ্রতি এসব বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান নিউজ নাউ বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন বুধবার। সাক্ষাতকার গ্রহন করে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন নিউজ নাউ বাংলার সম্পাদক শামীমা দোলা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান অনুমোদন দেয়া এসব বন্ডের অধিকাংশই সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ১০ হাজার কোটি টাকার বেসরকারি এবং ৪ হাজার কোটি টাকার সরকারি বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারকে শুধুমাত্র ইকুইটি ভিত্তিক বাজারে সীমিত না রেখে বাজারকে বন্ড, ডিবেঞ্চারসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারই অংশ এটি।
মার্জিন ঋণের সুদের হার প্রসঙ্গে শিবলী রুবাইয়াত জানান, ১২ শতাংশের উপরে কেউ সুদ নিতে পারবে না এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি দুই, একদিনের মধ্যেই বিএসইসি দেবে। কস্ট অব ফান্ডের সাথে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকাররা। এ মুহুর্তে বাজার স্থিতিশীল আছে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দিয়েছিল সেটি আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এতে আতঙ্কিত হতে পারে বলে স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উৎপাদনে নেই এমন কিছু কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস অতিরিক্ত আছে, তা রিভিউ করার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে শিবলী রুবায়েত নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, বাজার এখন যে অবস্থায় আছে এমন থাকলে বিনিয়োগকারীরা এক সময় ফ্লোর প্রাইস বিষয়টিই ভুলে যাবে।