দুবাই ভ্রমণে প্রতিরাতে পরীমনির হোটেল ভাড়াই ছিল দেড় লাখ

পরিমনিকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
দেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা কিংবা ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতার প্রায়ই প্রমোদ ভ্রমণে বিদেশ যেতেন নায়িকা পরীমনি।
দুবাইয়ের সবচেয়ে অভিজাত ‘বুর্জ আল খলিফা’ টাওয়ারের হোটেল আরমানিতে, গত এপ্রিল মাসেও সবশেষ পরীমনি দেশের এক শীর্ষ ব্যবসায়ী ও একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে অবস্থান করেন। টানা সাত দিন ছিলেন সেখানে। এই অ্যাম্বাসেডর স্যুটের ভাড়া হিসেবে একেকটা স্যুটের জন্য প্রতিদিন দিতে হতো এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা। সেই ট্যুরে পরীর সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আশরাফুল ইসলাম ওরফে দিপু। দু’জনই ছিলেন আলাদা স্যুট-এ।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যারা চিত্রনায়িকা পরী এবং মডেল মাহবুব ফারিয়া পিয়াসাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রমোদ ট্যুরে গিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
সূত্র বলছে, পরী সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পার্টির নামে সেক্স ও মাদকের আসর বসাতেন। পার্টির এক পর্যায়ে তারা টার্গেট করা ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন সুন্দরী রমণীদের। এই সুন্দরীদের নিয়ে আলাদা কক্ষে একান্তে সময় কাটানোর বন্দোবস্ত থাকত। আর অতি গোপনে এসব দৃশ্য বিশেষ টেকনোলজির মাধ্যমে ধারণ করতেন পরী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরবর্তীতে চলত ব্ল্যাকমেলিং।
জানা যায়, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন পরী এবং রাজ সিন্ডিকেট। তাদের মাধ্যমে তদবির করে তারা অনেককে পাইয়ে দিত বড় বড় কাজের কন্ট্রাক্ট।