এনআরসি বিষয়ে সরকার পর্যবেক্ষণ করছে: ওবায়দুল কাদের

ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার পর্যবেক্ষন করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এনআরসি ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্র্রনালয় থেকে একাধিকবার উদ্বিগ্ন না হতে বলা হয়েছে। তাই বিষয়টি আপাতত পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।
সোমবার ( ২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। আরো বলেন, এনআরসি বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন নেই।
আবার একথাও বলেছেন যে, দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আসলে উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক। এ রকম অনেক উদ্বেগ তো মোকাবেলা করেই সরকার পথ চলছে বলে উল্লেখ করেন। বলেন, এটা যেহেতু দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তাই সেভাবেই আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে এখনো বড় উদ্বেগের কোন কারন নেই। তবে সাময়িক একটা অস্বস্তির কারণ হলো, এটা আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
এসময় কথা বলেন বিএনপি প্রসঙ্গেও।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুমতি ছাড়াই সভা সমাবেশ করার ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করার বিষয়টি সব সরকারের আমলেই ছিল। বিএনপি সরকারের আমলেও আমাদেরকেই অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগকেও অনুমতি নিয়েই সভা-সমাবেশ করতে হয়েছে এমনকি যেদিন সমাবেশে দিন সকাল বেলায় এসে অনুমোদন দিয়েছে। এই আচরণ টা তারা কি করেন নি বলে প্রশ্ন রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগ অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে পারনিনি। কাজেই এটা তারা যে জায়গাটায় সভা-সমাবেশ করবে সেই জায়গাটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তাদের অনুমতি নিয়েই তাদেরকে সভা-সমাবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিয়মকানুনকে বিসর্জন দিয়ে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করার সামর্থ্য বিএনপি’র আছে কিনা সেটা সেটা দেশবাসী জেনেছেন। অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করার যে সক্ষমতা সামর্থ্য তাদের আছে কিনা এ নিয়ে তো তাদের দলের মধ্যেও প্রশ্ন আছে।