রাজকূট
আ.লীগ বর্গিদের ভূমিকা পালন করছে: ফখরুল

আওয়ামী সরকারকে বর্গিদের সরকার বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছোটবেলায় আমাদের মায়েরা গান শোনাতো ‘খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে। ‘আজকে এই সরকার বর্গিদের ভূমিকা পালন করছে। এখন আমাদের বাচ্চাদের ঘুম পারাতে হবে আওয়ামী লীগ এলো দেশে এই কথা বলে।
সোমবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির আয়োজনে ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকটের উৎস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। দলের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দেশের মানুষ জ্বলছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, এই সরকার দেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কথা বলতে পারবেন না, লিখতে পারবেন না, কোথাও যেতে পারবেন না। এমন কী গতকাল (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী ধমক দিয়ে বলেছেন, ‘আহ্লাদ নির্বাচন করবেন।’ অর্থাৎ তার ভাবখানা এমন যে, আপনারা আবার নির্বাচন করার কে?’
গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেওয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সিকিউরিটি টেন্ট (তাবু বা বলয়) তৈরী করা হয়েছে।প্রশ্নটা হচ্ছে এত টেন্ট তৈরী করে থাকতে হচ্ছে কেন? বার বার এই কথা বলছেন কেন? আবার সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে ৷ তাহলে বিগত ১৫, ১৬ বছর ধরে কী দেশ আপনারা চালালেন? আপনারা বলেন যে টেরোরিজমকে আপনারা উধাও করে দিয়েছেন। সেখান থেকে আবার সেই চিন্তা আসছে কেন?
একধাপে জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ বাড়ানোর পরিবর্তে সরকারের অন্য বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল বলে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির জেষ্ঠ স্থানী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, গভীর রাতে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অর্থনীতিকে সঙ্কটে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, সরকার জনকল্যাণের চেয়ে দলীয় ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় সব খরচ দিয়ে জনগণকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সরকারের অধীনে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব নয় কারণ তাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই।
‘‘বিশ্বের যেকোন দেশের সরকার ধনীদের থেকে গরিবেদের প্রতি বেশি মনযোগী থাকে। গরিবরা যেন সমাজে একটা সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে পারে তারা সেটা নিশ্চিত করে। এবং এই দ্বায়িত্বটা পালন করাই হলো সরকারের কাজ। বাংলাদেশে এটার উল্টোটা করা হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।’’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধের ওপর বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান৷ তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারের মূল্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে জ্বালানি তেলের যে রিটেইল প্রাইজ,সেখানে সমস্ত ব্যায় অন্তর্ভুক্ত করে দাম সমন্বয় করলে তেলের দাম শতকরা আট শতাংশ কমতে পারে। ৫১ শতাংশ বাড়তে পারে না।তাহলে যেটা দাড়াচ্ছে সেটা হলো, সরকার অন্যায়ভাবে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সত্যিকার্থে ৫১ শতাংশ নয়,৫৯ শতাংশ।