
আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৭৬টি মামলা ও ৪২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মাদক মামলার সংখ্যায় জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কসবা থানা। যেখানে ৬৯টি মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এর পরের অবস্থানে রয়েছে, সদর মডেল থানায় ৫৯টি, আখাউড়ায় ৫৫টি, বিজয়নগরে ৫৪টি, আশুগঞ্জে ৫২টি, নবীনগরে ৪৫টি, সরাইলে ১৬টি, বাঞ্ছারামপুরে ১৪টি এবং নাসিরনগরে ১৩টি মামলা। বিশেষ করে ভারত সীমান্তঘেঁষা কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগরে মাদকের প্রবেশ বেড়েই চলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, মাদক চোরাচালানে নতুন নতুন কৌশল যেমন, কাপড় ও ব্যাগের ভেতর মাদক লুকিয়ে পাচার ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মুজাফফর হোসেন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে শহরতলীর বিরাশার, সুহিলপুর ও বোধল গ্রামে জনসচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারিদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ অবস্থায় প্রতিদিন মাদকসেবীদের অসহায় বাবা-মা, ভাই-বোনেরা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন। নেশার টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের মারধরসহ হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এদিকে গত ০২ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাসিহাতা ইউনিয়নেমাওলানা আব্দুল ওহাব বড় হুজুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মাদকবিরোধী সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদকের কুফল এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিটি সচেতনা নাগরিককে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, মাদক মামলার আধিক্য জেলার অন্যান্য মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো জানান, অধিকাংশ আসামি চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন এবং পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। তিনি সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে সচেতন হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
নিউজ নাউ বাংলা / ০৪ মে ২০২৫ / এসি/ জেডআরসি